মুফতি আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক

উপাধ্যক্ষের বাণী

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ৪০তম অধস্থন বংশধর আধ্যাত্মিক সাধক, দ্বীনের দাঈ ও পথপ্রদর্শক, ইসলামী শরীয়তের মূর্তপ্রতীক হাফেজ ক্বারী আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ রহমতুল্লাহি আলাইহির প্রতিষ্ঠিত কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া কামিল মাদ্রাসা বিভিন্ন কারণেই উল্লেখযোগ্য ও অনন্য একটি দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

পরবর্তীতে তাঁরই উত্তরসূরী হিসেবে ত্বদীয় সাহেবজাদা, দ্বীনের রাহনূমা, আধ্যাত্মিক সাধক, আলহাজ্ব সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ (মা. জি. আ.) এবং আলহাজ্ব সৈয়দ মুহাম্মদ ছাবের শাহ (মা. জি. আ.)—এর নির্দেশনা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানটি আরও সমৃদ্ধি, গতিশীলতা ও সৃজনশীলতা লাভ করে। দেশপ্রেমিক, দক্ষ ও যোগ্য সাচ্ছা আলেম তৈরী করার ক্ষেত্রে কাদেরিয়া বিশেষ ভূমিকা পালনকারী প্রতিষ্ঠান। যেখানে ইলমে দ্বীনের পাশাপাশি আধুনিক, কর্মমুখী ও নৈতিক শিক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়।

ঢাকা শহরের খরুচে জীবনযাত্রার পারিপার্শ্বিকতায় দরিদ্র শিক্ষার্থীরা যাতে মানসম্মত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়, সেজন্য গভর্নিং বডির পাশাপাশি দেশের শীর্ষস্থানীয় দ্বীনি সংস্থা আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট প্রয়োজনীয় ভর্তূকি প্রদান করে থাকে, যা দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যয় করা হয়। শরীয়ত অনুসারে মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথক ক্যাম্পাসে পাঠদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইসলামের সঠিক আকীদা ও আদর্শ লালন করার কারণে কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া কামিল মাদ্রাসা সত্যান্বেষী মানুষের কাছে সন্ত্রাসমুক্ত একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীদের জন্য জ্ঞানচর্চার নিরাপদ ঠিকানা। ইলমে দ্বীন চর্চার এ আদর্শ প্রতিষ্ঠান আরও এগিয়ে যাবে— অনেকদূর; গতিশীল হবে— আরও বেশি; টিকে থাকবে— অনাগত কাল ধরে। মহান আল্লাহর দরবারে এই ফরিয়াদ করছি। ওয়ামা তাওফিক্বী ইল্লা বিল্লাহ। আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।